bost Inviato 19 ore fa Inviato 19 ore fa ...quello del Codice da Vinci.Non credo si tratti di Letteratura con la L maiuscola, perà il Codice e i tre libri precedenti me li sono divorati. Il penultimo non mi attizzava enon l'ho letto...
teramusic Inviato 18 ore fa Inviato 18 ore fa 1 ora fa, bost ha scritto: ...quello del Codice da Vinci.Non credo si tratti di Letteratura con la L maiuscola, perà il Codice e i tre libri precedenti me li sono divorati. Il penultimo non mi attizzava enon l'ho letto... Sono libri per cui va attesa l'uscita in serie economica o da cercare nei mercatini dell'usato.
best_music Inviato 16 ore fa Inviato 16 ore fa Su Goodreads ha 4,02 stelle su 5 risultanti dalla media di 38.000 voti espressi dagli iscritti alla piattaforma (circa 4.200 con commento scritto). Altri 40.000 "lo stanno leggendo" e 70.000 "vorrebbero leggerlo" per cui presto il numero di voti aumenterà. Ho trovato questa illuminante recensione (non è uno scherzo, tradurre per credere): Cita মাত্রই পড়ে শেষ করলাম ড্যান ব্রাউনের নতুন বই "দ্য সিক্রেট অফ সিক্রেটস।" প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে কিছুটা নস্টালজিক আলাপ করা যাক। 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড' বইটা যখন হাতে আসে, তখন আমি ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি। হুমায়ূন আহমেদ, সত্যজিৎ, সুনীল, শীর্ষেন্দু, তিন গোয়েন্দা, কিশোর ক্লাসিকের অনুবাদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর অগণিত বইয়ের পাশাপাশি 'কিছু ইংরেজি বই' পড়ে ভেবে ফেলেছি, এসবের বাইরে পৃথিবীতে তেমন কিছু পড়ার মতো নেই। এই নার্সিস্টিক প্রাইডে প্রথমবার আঘাত হেনেছিল আমার বন্ধু তন্ময়, একদিন ওর বাসার বুকশেলফে মোনালিসার চোখ আঁকা সাদা রঙের প্রচ্ছদের একটা মোটাসোটা বই দেখে অবাক হয়ে জানতে চেয়েছিলাম "ইহা কী বস্তু!" তন্ময় খুব উদাসীন ভঙ্গিতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিল, "আমি তোদের মতো বাচ্চা পোলাপানের বই পড়ি না; প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, ধর্ম, সিম্বল এসব নিয়ে পড়ি। এসব তোর ভালো লাগবে না।" উত্তেজনার বশে তন্ময়কে তেলতুল মেরে বইটা ধার নিয়েছিলাম, তন্ময় আরও উদাস ভঙ্গিতে বলেছিল, "দেখ, কিছু বুঝিস কিনা!" বাসায় ফিরেই পড়তে শুরু করেছিলাম বইটা। সম্ভবত পরদিন সকালেই গোগ্রাসে গিলে 'মাথামুথা হ্যাং' করে বসেছিলাম। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, এখন আমি আর দশটা সাধারণ বালকের মতো না। আমার মাথায় এখন ধর্ম, ইতিহাস, গোপন তথ্য, সিম্বলজি বিষয়ে অগাধ জ্ঞান। তন্ময়কে বইটা ফেরত দিয়েই বাতিঘর থেকে প্রকাশিত অনুবাদ বইটার নতুন আরেকটা কপি কিনে ফেলি। তার কয়েক মাস পর এক লাইব্রেরিতে চোখে পড়ে যায় এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস। ড্যান ব্রাউনের নাম দেখে আম্মুর সাথে মারাত্মক ঘ্যানঘ্যান করে বইটা কিনি এবং আবারও ঘুম-খাওয়া-পড়া বাদ দিয়ে শেষ করি সেইদিনই। ড্যান ব্রাউনের সাথে পরিচয়টা ঠিক এভাবেই। মনে আছে, এঞ্জেলস এন্ড ডেমনসের মোটামুটি কাঠখোট্টা অনুবাদ পড়ার পর ব্ল্যাক মার্কার দিয়ে হাতে এম্বিগ্রাম এঁকেছিলাম। স্কুলে অনেকের সাথেই আলগা ভাব নিয়ে বলতাম, তোরা এসব বুঝবি না। ক্লাসের ফাঁকে ভিঞ্চি, ভিটুরিভিয়ান ম্যান, লাস্ট সাপার এসব নিয়ে জ্ঞান দিতাম বন্ধুদের। এমনকি তন্ময় আর আমি একসাথে হলেই গুরুগম্ভীর ভঙ্গিতে হলি গ্রেইল, অ্যানাগ্রাম, অ্যাম্বিগ্রাম বিষয়ে আলাপ করতাম। রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের পাশাপাশি ততদিনে ডিসেপশন পয়েন্ট এবং ডিজিটাল ফরট্রেসও পড়ে ফেলেছি আমরা! আরেকটু বড় হয়ে যখন 'দ্য লস্ট সিম্বল' বইটার খবর পেলাম, তখন নীলক্ষেত লোকাল প্রিন্টে সরগরম। মোটা ইংরেজি বই পড়ার অভ্যাস ততদিনে হয়ে এসেছে, বিধায় সস্তায় কেনা পেপারব্যাক বইটা পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু রিপিটেটিভ কন্টেন্ট এবং প্রচণ্ড জ্ঞানগর্ভ তাত্ত্বিক আলাপের কারণে অসম্ভব বিরক্ত হয়েছিলাম। পরবর্তীতে ল্যাংডন সিরিজের 'ইনফার্নো' এবং 'অরিজিন' দুটো বইই প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করলেও শেষপর্যন্ত মনে ভরেনি। তবুও ছোটবেলার সেই নস্টালজিয়ার কারণে ড্যান ব্রাউন মনের ভেতর আলাদা একটা জায়গা দখল করে রেখেছিলেন নি:সন্দেহে। সুদীর্ঘ আট বছর পর আবারও রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের বই নিয়ে হাজির হলেন ব্রাউন সাহেব। আমার সমসাময়িক পাঠকেরা এখন অনেক বেশি ম্যাচিওরড; সহজে থ্রিল অনুভব করে না, মন ভরে না অল্পতেই। এতদিনে সবাই বুঝে গেছেন এবং মেনে নিয়েছেন, নতুন প্লট হলেও ড্যান ব্রাউন সেই একই ফর্মুলাতেই লিখবেন: পৃথিবী কাঁপিয়ে দেবার মতো কোন রহস্যকে ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা, বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে রবার্ট ল্যাংডনের দৌড়ঝাপ, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র খুন হয়ে যাওয়া, পৌরাণিক চরিত্রের মতো সেজে থাকা উন্মাদ খুনি, গোপন সংগঠন, ইতিহাস, সিম্বল, কন্সপিরেসি, পুরাণ, প্রত্নতত্ত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি। তবুও ড্যান ব্রাউনের নতুন বই নিয়ে গোটা পৃথিবী জুড়ে যে উৎসবের আমেজ, তাতে অংশীদার হবার লোভ সামলানো তো সহজ কথা নয়! অত:পর হাতে (ইন্টারনেটে!) পাওয়া মাত্রই গতকাল সকাল সকাল পড়া শুরু করলাম রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের ষষ্ঠ বই, "দ্য সিক্রেট অফ সিক্রেটস।" একটানে পড়ব বলে আয়োজন করে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে রেখেছি আগেই। পড়া শুরু করতেই অসম্ভব নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হলাম। হার্ভার্ড অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন; এক হাতে মিকি মাউসের ঘড়ি, আরেক হাতে সিম্বলজির অচল অভিধান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোন একটা খুন হলো বলে, শহরের পুরোনো গির্জা কিংবা যাদুঘরের ভেতর দিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু হতে কতক্ষণ বাকি? এসব ভাবতে ভাবতেই সেই পরিচিত ছাঁচে ফেলা গল্প এগোতে শুরু করল। আরও একটা ইতিহাস-প্রযুক্তি-ষড়যন্ত্রের মিশ্রণে টানটান থ্রিলার; এবার গল্পের কেন্দ্রস্থল চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ শহর, যেখানে দিনভর চলমান এক ঝড়ো অভিযাত্রায় পাঠককে টেনে নিয়ে যান রবার্ট ল্যাংডন। গল্পের সূত্রপাত ঘটে বিখ্যাত নিউরোসায়েন্টিস্ট ডা: গ্রেসনার এর আউট ইফ বডি এক্সপেরিয়েন্সের মাধ্যমে। শরীর থেকে বেরিয়ে ভাসছেন তিনি, প্রাগের বরফে ঢাকা প্রাসাদ ও শহরকে দূর থেকে দেখছেন। অতিপ্রাকৃতিক এক রহস্যময় আবহে শুরুতেই নড়েচড়ে বসতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ মুখ্য চরিত্র ক্যাথরিন সলোমনকে আমরা দ্য লস্ট সিম্বল বইয়ে আগেই পেয়েছিলাম। তখন ল্যাংডনের সহচর ছিলেন, তবে এবার হাজির হয়েছেন পূর্ণাঙ্গ প্রেমিকারূপে। এক বৈপ্লবিক তত্ত্ব নিয়ে মনোযোগ কেড়েছেন নোয়েটিক সায়েন্টিস্ট ক্যাথরিন,'মানুষের মস্তিষ্ক আসলে কোনো বদ্ধ সিস্টেম ন��়, বরং এক ইউনিভার্সাল মাইন্ড এর দরজা। এই দদজার ভেতর দিয়ে যেমন মৃত্যুর পরবর্তী জগতে প্রবেশ করা যায়, ঠিক তেমনিভাবে ভবিষ্যৎ অনুধাবনের ক্ষমতাও এতে নিহিত। ক্যাথরিন সলোমনের প্রকাশিতব্য বইয়ের পান্ডুলিপি হয়ে ওঠে ষড়যন্ত্রের মূল কেন্দ্রবিন্দু; গোপন এক সংগঠন যেটাকে ধ্বংস করে দিতে চায়, যার দখল নিতে চায় প্রতিদ্বন্দ্বী বিজ্ঞানী, আবার নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চায় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি শক্তি। বিপাকে পড়েন রবার্ট ল্যাংডন। ক্যাথরিনকে হারিয়ে প্রাগ শহরের আনাচে কানাচে তাড়া খেয়ে দৌড়ে বেড়াতে থাকেন। ঝামেলায় জড়িয��ে পড়েন চেক কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স Bezpečnostní informační služba এর সাথেও। চিরাচরিত ঢঙে বইয়ের পাতায় হাজির হয় ড্যান ব্রাউনের সেই বহুপরিচিত উপকরণ: গোপন পথ, রহস্যময় প্রতীক, ঐতিহাসিক সত্যের উন্মোচন। ল্যাংডনের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাঠকও ঘুরে বেড়াবেন ওল্ড টাউনের অলিগলিতে। পরিচিত হবেন ছয়শ বছরের পুরনো চার্লস ব্রিজ, প্রাগ ক্যাসেল, ভ্লাতেভা নদী, ফোর সিজন'স হোটেল, ক্লেমেন্টিনাম লাইব্রেরি, সেন্ট ভিটাস ক্যাথেড্রাল, স্টাহভ মনেস্ট্রি লাইব্রেরি, অ্যাস্ট্রোনমিকাল ক্লকসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনার সাথে। আউট অফ বডি এক্সপেরিয়েন্স, সাডেন স্যাভান্ট সিন্ড্রোম, টেম্পোরাল লোব এপিলেপ্সি, নেয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স, স্মৃতিভ্রম এর মতো রহস্যময় অভিজ্ঞতায় শিহরিত হয় পাঠক। 'Consciousness exists outside brain' এর মতো ব্যাখ্যাতীত আধ্যাত্মিক তত্ত্বে বিচলিত হয়ে ওঠে। রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের আগের বইগুলোর আইকনিক কিলার বা প্রতিপক্ষ চরিত্রগুলোর কথা মনে আছে তো? ড্যান ব্রাউনের প্রায় সব বইয়েই হত্যাকারী বা প্রতিপক্ষ চরিত্রদের ভেতরে পৌরাণিক বা আধ্যাত্মিক আবহ থাকে। তারা নিছক অপরাধী নয়; বরং প্রতীকী রূপ, ইতিহাস বা কিংবদন্তির প্রতিধ্বনি। 'দ্য ভিঞ্চি কোডের' অ্যালবিনো সন্ন্যাসী সাইলাস নিজেকে ঈশ্বরের যোদ্ধা ভাবত, তার সহিংসতার জন্ম হয়েছিল ধর্মীয় উন্মাদনা থেকে। 'এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস'-এর অ্যাসাসিন নিয়োজিত ছিল ইলুমিনাতি-সংক্রান্ত প্রতীকী বার্তা বহনের জন্য প্রাচীন ষড়যন্ত্রের প্রতিচ্ছবি হিসেবে। 'দ্য লস্ট সিম্বল' বইয়ে মাল’আখের শরীরের ট্যাটু, পৌরাণিক বিশ্বাস আর অবসেশনের কারণে তাকে মনে হতো পৌরাণিক কোন সাধুর মতো। আবার 'ইনফার্নো'-র এন্টাগনিস্ট বিজ্ঞানী বার্ট্রান্ড জোব্রিস্ট বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য ভয়ঙ্কর বলিদানের মাধ্যমে নিজের 'দৈবশক্তি' ঘোষণা করেছিল। ঠিক একইভাবে 'দ্য সিক্রেট অফ সিক্রেটস' বইয়ে হাজির হয় গোলেম চরিত্রটি; আধা-মানব, আধা-মিথ, প্রাগের মধ্যযুগীয় কিংবদন্তি থেকে উঠে আসা এক দানবীয় সত্ত্বা। তার মনের ভেতর জন্ম নেয়া দুঃখবোধ ও ভয় একদিকে যেমন ব্রাউনের পুরোনো ভিলেনদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে, ঠিক তেমনি তার উপস্থিতির মাধ্যমে গল্পে আসে ভৌতিক আবহ। কিংবদন্তী অনুযায়ী, গোলেম হলো কাদা বা মাটির তৈরি কৃত্রিম প্রাণী, ইহুদি মিস্টিকরা (বিশেষ করে কাব্বালা চর্চাকারীরা) বিশেষ মন্ত্র-তন্ত্র বা ঈশ্বরের নাম ব্যবহার যার মাঝে প্রাণ সঞ্চার করতেন। গোলেম সংক্রান্ত কিংবদন্তির মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত কিংবদন্তি হলো ষোড়শ শতকের প্রাগ গোলেম; ইহুদি সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য রাব্বি জুডাহ লো (Rabbi Judah Loew ben Bezalel, “Maharal of Prague”) এই গোলেম তৈরি করেছিলেন। কিন্তু গোলেম প্রায়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে ভয়ঙ্কর শক্তি ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, ফলে শেষ পর্যন্ত তার স্রষ্টাই তাকে নিষ্ক্রিয় করতে বাধ্য হন। দ্য সিক্রেট অফ সিক্রেটস বইয়ের গোলেম চরিত্রটাও এখানে “বিপজ্জনক জ্ঞান”এর মেটাফোর। যেমনভাবে কিংবদন্তির গোলেম স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণকে ছাড়িয়ে যায়, তেমনি ক্যাথরিন সলোমনের পাণ্ডুলিপির জ্ঞানও মানবজাতির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কাহিনি যতো এগোতে থাকে, ততোই স্পষ্ট হয়ে ওঠে উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য: আসল লড়াইটা মানুষের সাথে মানুষের নয়, মানুষের চেতনা ও জ্ঞানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই এই লড়াইয়ের সূত্রপাত। বরাবরের মতোই অ্যাকশন কিংবা সাসপেন্সে কমতি রাখেননি ড্যান ব্রাউন। ব্ল্যাক অ্যাঞ্জেল'স বার কিংবা চার্লস ব্রিজের সিকোয়েন্সগুলো আলাদা করে মনে রাখার মতো। পাঠক জানেন, ড্যান ব্রাউনের বই মানেই তথ্যে ভরপুর৷ তবে ইতিহাস-দর্শনের পাশাপাশি এবার বিজ্ঞানের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন লেখক। প্রাগের ইতিহাস কিংবা পৌরাণিক আলোচনার পাশাপাশি জোর দেয়া হয়েছে নিউরোসায়েন্স, ব্রেন-ইন্টারফেস টেকনোলজি, নোয়েটিক সায়েন্সের রেফারেন্সে। নতুন কিংবা চিত্তাকর্ষক কিছু ধারণাকে অবশ্য বিজ্ঞান-বিরোধী বা অতিপ্রাকৃত বলা যায়। অনেক পাঠকের কাছে এই তথ্যগুলোকে বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে, আবার অনেকের কাছে এসব তথ্যই যেন আসল রোমাঞ্চের উৎস। তবে সত্যি বলতে, 'দ্য সিক্রেট অফ সিক্রেটস' বইয়েও ড্যান ব্রাউন আগের মতো রিপিটেটিভ। বরাবরের মতোই মাঝপথে তথ্য লুকিয়ে রেখে টান টান উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা, একটু একটু করে তথ্য উন্মোচন, মূল চরিত্রের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র খুন, পৌরাণিক আদলের এন্টাগোনিস্ট, প্রেডিক্টেবল টুইস্ট সবকিছুর সাথে পাঠক একইভাবে পরিচিত হয়েছে আগের বইগুলোতেও। অনেকদিন বিরতি দিয়ে পড়ার ফলে গল্পের সেই রিপিটেটিভ স্টাইলের বিরক্তিকে আমার মতো নস্টালজিক ইমোশনের দোহাই দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে৷ গুগল ঘাটাঘাটি করে যা দেখলান, সমালোচকরা বইটাকে সহজে ছাড় দেননি। দ্য গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে: weapons-grade নন্সেন্স from beginning to end, নিছক ভোঁতা উন্মাদনা, আগাগোড়া অযৌক্তিক। ওয়াশিংটন পোস্ট অবশ্য উল্টো দিকটা দেখিয়েছে। তাদের মতে, এই বইয়ে লেখক নিজেই নিজেকে নিয়ে উপহাস করেছেন। ল্যাংডনকে “আর্ম ক্যান্ডি” বানানো কিংবা ক্যাথরিনের বইকে অলৌকিক গুরুত্ব দেওয়া- সবই একধরনের আত্মপরিহাস। বই শেষ করে আমার কী মতামত? সব আলোচনা-সমালোচনার ঊর্ধ্বে দ্য সিক্রেট অফ সিক্রেটস এর এক অদ্ভুত ক্ষমতার কথা উল্লেখ করতে হয়। নিছক এক শ্বাসরুদ্ধকর তথ্যনির্ভর থ্রিলার উপন্যাস হিসেবে নয়, বরং বইয়ের গুরুত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এক নস্টালজিক প্রয়াস হিসেবে ড্যান ব্রাউনের এই বইটা গুরুত্বপূর্ণ। বহু সমস্যায় জর্জরিত হয়ে যখন আমাদের বইপাড়া ঝিমিয়ে আছে, ঠিক এমন একটা সময়ে ৬৮৮ পৃষ্ঠার বিশাল একটা ইংরেজি বই প্রকাশের আগেই রীতিমতো ঝড় তুলে ফেলেছে। ড্যান ব্রাউন তো আর সাধে বলেননি, "একটি বই এখনও জীবন বদলে দিতে পারে, বিতর্ক উসকে দিতে পারে, এমনকি হত্যা করাতেও প্ররোচিত করতে পারে।" 'দ্য সিক্রেট অফ সিক্রেটস' ড্যান ব্রাউনের সেরা কাজ নয়, একে বরং ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তি বলা যেতে পারে। তবুও এই বইটাকে আমি এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস এবং দ্য দা ভিঞ্চি কোডের পরে (রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের ছয়টি বইয়ের তালিকায় আমার পছন্দ অনুযায়ী তৃতীয়) স্থান দেবো। এত বছর পরে এসে দ্য দা ভিঞ্চি কোড পড়ার সময়কার সেই কৌতূহলপূর্ণ উন্মাদনা অনুভব করলাম, তাতেই বা আনন্দ কম কীসের? p.s. chissà forse per chi vive laggiù le capitali europee hanno il fascino esotico che per noi hanno le ambientazioni di Sandokan ed i pirati della Malesia...
bost Inviato 16 ore fa Autore Inviato 16 ore fa @teramusicIl Codice l'ho letto per caso da una bella edizione, era di mia cognata
teramusic Inviato 15 ore fa Inviato 15 ore fa 38 minuti fa, bost ha scritto: @teramusicIl Codice l'ho letto per caso da una bella edizione, era di mia cognata Meglio, così non ci hai sprecato nemmeno 1 euro!
bost Inviato 15 ore fa Autore Inviato 15 ore fa @teramusiccredo siano stati gli ultimi libri che ho letto, non erano cime di letteratura (poi l'impostazione delle storie è uguale in tutti i suoi libri) , ma erano le storie veramente avvincenti...eh , non ho lo spessore culturale per leggere , che so, Guerra e Pace...
teramusic Inviato 14 ore fa Inviato 14 ore fa 37 minuti fa, bost ha scritto: @teramusic....... (poi l'impostazione delle storie è uguale in tutti i suoi libri) , ma erano le storie veramente avvincenti...... Fuor di dubbio. Nel suo genere è bravo. Tutto basato nell'intreccio della trama, letture godibilissime per relax e sotto l'ombrellone d'estate. La tecnica è quella dei film di James Bond: trama intricata con azione che si svolge in tre o quattro location intriganti e di fascino, adrenalina e mistero. Ha avuto la fortuna di azzeccare il successo con il Codice da Vinci che ha permesso di rispolverare i due o tre libri precedenti che al momento della pubblicazione non se li era filati nessuno. Io dopo The Lost Symbol ho gettato la spugna ed attendo direttamente che ci facciano il film.
Messaggi raccomandati
Crea un account o accedi per lasciare un commento
Devi essere un membro per lasciare un commento
Crea un account
Iscriviti per un nuovo account nella nostra community. È facile!
Registra un nuovo accountAccedi
Sei già registrato? Accedi qui.
Accedi Ora